অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নানান ক্ষেত্রে সংস্কার কাজ শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষাক্ষেত্রে পাঠ্য পুস্তক সংস্কার করার ঘোষণা আসে। জানা গেছে, আগামী শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে কী কী সংশোধন ও পরিমার্জন করা যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে। তবে এখনও শেষ হয়নি পাঠ্য বই সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ। ফলে আগামী বছর স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ কোটি বিনামূল্যের বই ছাপানোর বিষয়টি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়তে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে । দ্রুতই এটি চূড়ান্ত হবে।
চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল। এই শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা সমালোচনা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই শিক্ষাক্রম বাতিল করে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
২০১২ সালের শিক্ষাক্রমেই আগামী বছর চলবে শ্রেণি কার্যক্রম। এরপর বিভিন্ন বিষয়ের পান্ডুলিপি সংশোধন ও পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। অথচ বছর শেষ হতে দুই মাস বাকি, শেষ হয়নি বই পরিমার্জনের কাজ। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কারিকুলাম নির্ধারণ না করেই বই কীভাবে ছাপা হবে, কনটেন্ট কীভাবে ফিক্স হবে? বাংলাদেশ সরকারের সামনে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, এটি হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ৪১ সদস্যের কমিটি পরিমার্জনের কাজ করছে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর আগের মতোই পরীক্ষা হবে। বিভাগ বিভাজনও থাকবে। শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলছেন, পরিমার্জনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাক্রমকে যুগোপযোগীও করতে হবে। তবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো রুপরেখা এখনও পাওয়া যায়নি।
এনসিটিবি বলছে, ২০২৬ সালের জন্য পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রস্তুত করা হবে। সে জন্য আলাদাভাবে কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply